নিজস্ব প্রতিবেদক: শেরপুরে চরাঞ্চলের শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেছে জেলা পুলিশ। ১ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর উপজেলার কামারেরচর ইউনিয়নের দুর্গম ৭নং চর এলাকায় ৩ শতাধিক কম্বল বিতরণ করা হয়।
৭নং চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বরে পুলিশ সুপার মোনালিসা বেগম পিপিএম ৭নং চরের ২ শতাধিক শীতার্ত মানুষের হাতে এসব কম্বল তুলে দেন। পরে ৭নং চর মদিনাতুল উলুম হাফেজিয়া মাদ্রাসার আরও ১ শতাধিক শিক্ষার্থীদের মাঝেও কম্বল বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, শেরপুরের পুলিশ সুপার মোনালিসা বেগম পিপিএম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. খোরশেদ আলম, সদর থানার ওসি মো. এমদাদুল হক, কামারেরচর ইউপি চেয়ারম্যান মো. হাবিবুর রহমান হাবীব।
বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পুলিশ সুপার মোনালিসা বেগম পিপিএম বলেন, কম্বল বিতরণ উদ্দেশ্য নয়, এটাতো সামান্য উপহার মাত্র। এখানে আসার উদ্দেশ্য হলো-এলাকার মানুষের সাথে পরিচিত হওয়া, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সম্পর্ক উন্নয়ন করা। আমি আইনের সোজা পথে চলতে পছন্দ করি। যারা আইন মেনে চলেন, অপরাধের সাথে সম্পৃক্ত নন, তাদের সাথে সোজা ব্যবহার হবে। আর যারা আইন লঙ্ঘন করেন, অপরাধের সাথে যুক্ত, বাঁকা পথে চলেন, তাদের সাথে আইনের ভাষায় বাঁকা কথাই হবে। পুলিশ সুপার বলেন, অপরাধীর কোন ছাড় নেই। তিনি যেখানেই থাকুন, যতদূরেই থাকুন, যত শক্তিশালীই হোন, কে আপন, কে পর সেটা দেখা হবে না। আইনের লম্বা হাতে তাদেরকে পাকড়্ওা করা হবে, যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. খোরশেদ আলম বলেন, এই শীতে শেরপুরে পাহাড়ি জনপদের নৃ-জনগোষ্ঠি, মুক্তিযুদ্ধের শহীদ পরিবার, বিভিন্ন এলাকার ছিন্নমুল মানুষের পর এবার চরাঞ্চলের শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণ করেছে জেলা পুলিশ। পুলিশ সুপার নিজ উদ্যোগে এসব কম্বল সংগ্রহ ও বিতরণের উদ্যোগ নেন।
কামারেরচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, স্বাধীনতার পর জেলার প্রথম কোন এসপি এবং উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা যোগাযোগ বিপর্যস্ত দুর্গম ৭নং চর এলাকায় এলেন। এতে আমরাসহ এলাকাবাসীরা দারুণ খুশী।
কম্বল পেয়ে খুশি চরের মানুষেরা। আজিজুর বলেন, আমাগো চরে কোন অফিসার এর আগে কেউ আইয়া আমাগো কিছু দেয় নাই। আইজকা পুলিশ সুপার নিজের হাতে কম্বল দিয়া গেলো খুব খুশি আমরা।
হালিমা বলেন, আমাগো চরে মেলা শীত। এই শীতে নিজের হাতে পুলিশ সুপার কম্বল দিলো। এতে আমাদের মেলা উপকার হইলো। সরকারি অফিসারের হাতে কম্বল পাইলাম।