শেরপুর জনস্বাস্থ্য বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতির অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার: শেরপুর জনস্বাস্থ্য বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে নানা দূর্নীতির অভিযোগ কাজ না করে বিল প্রদান সহ কয়েক কোটি টাকার অবৈধসম্পদ অজর্নের অভিযোগ দুদকে!!
শেরপুর জনস্বাসাস্থ্য বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জামাল হোসেনের বিরুদ্ধে নানা দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যে দূদকে লিখিত অভিযোগও দাখিল করেছে ভুক্তভোগীরা।
জানাগেছে, প্রায় ৫ বছর যাবত মোহাম্মদ জামাল হোসেন শেরপুর জেলা জনস্বাস্থ্য বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে এ যাবতকালে বিভিন্ন নির্মান ও সংস্কার কাজে এবং গভীর নলকূপ স্থাপন সহ পাইপ লাইন নির্মাণে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের কাছ থেকে মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে কাজ না করেও কোটি টাকার বিল প্রদানের অভিযোগ উঠেছে। জেলায় মোট ১১ টি প্রকল্পে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এ ছাড়া গত ৫ বছরে নিম্নমানের পাম্প , পাইপ সহ নানা সরঞ্জাম ব্যবহার করে হাতিয়ে নিয়েছে কয়েক কোটি টাকা।
তার বিরুদ্ধে ময়মনসিংহ জেলায় বহুতল ভবন , জমিসহ অবৈধ সম্পদ অর্জেনের লিখিত অভিযোগ তার বিভাগীয় অফিস সহ দুদকে জমা আছে বলে জানা গেছে।
নির্মানাধীন ২৯ লাখ টাকা ব্যায়ে নকলা উপজেলা অফিস ভবনে ব্ল্যাক স্টোন দিয়ে ব্যাস, সাব ব্যাস, কলাম সহ ভবনের গুরুত্বপূর্ণ সকল ঢালাই পাথর দিয়ে হওয়ার কথা থাকলেও সকল ঢালাই কাজ করা হয় নিম্নমানের ইটের খোয়া দিয়ে।
এছাড়া নালিতাবাড়ি একটি আর্সেনিক প্রকল্পের ১ কোটি ৬৩ লাখ টাকার গভির নলকুপ স্থাপন কাজ ১০% কম দরে ওয়ার্ক ওর্ডারদিয়ে তার পছন্দের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাজ থেকে অতিরিক্ত অর্থ ঘুষ নিয়ে ১২% এভাবে (অতিরিক্ত দরে) পাইয়ে দিয়ে কাজ সম্পন্ন না হলেও ঠিকাদারকে চুরান্ত বিল প্রদান করার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। যেখানে সরকারের প্রায় ৩৩ লাখ টাকার অর্থ অপচয়ের অভিযোগ রয়েছে।
বিভিন্ন স্থানে গভীর নলকূপ বসানোর কাজে নির্ধারিত পাইপ ৫শ ২০ ফুটের কম দেয়া ও সরকার নির্ধারিত আর এফ এল অথবা গাজী মোটর ব্যবহার না করা নিম্নমানের চায়না আরএস মটর ব্যবহার করে কমিশন বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। অভিযোগ করেন ভুক্তভুগীরা করা হয়নি আর্সেনিক পরিক্ষা। গভির নলকুপে ৭ হাজার ১ শ টাকা নেওয়ার কথা থাকলেও নেয়া হয়েছে ১২ হাজার টাকা এমন অভিযোগ সর্বত্র।
জেলার নকলা, নালিতাবাড়ী ও শ্রির্বদী উপজেলায় কোটি কোটি টাকার কাজে সীমাহীন দূর্নীতির অভিযোগ রয়েছে এই নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ জামাল হোসেনের বিরুদ্ধে। নিম্নমানের পাইপ দিয়ে পাইপ লাইনের কাজ সহ পাইপ লাইনে নির্ধারিত ৫ ফুট গর্তের পরিবর্তে দেড় থেকে দুই ফুট গর্ত করে কাজ শেষ করা হয়। দেয়া হয়না সেন্ড ফিলিং। এদিকে নালিতাবাড়ীর বাগান বাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নক্সা অনুযায়ী ওয়াশ ব্লকের কাজ হলেও নকলা লাভা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ওয়াশ ব্লকে নকশা ববহির্ভূত কাজ করে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে কয়েক লক্ষ টাকা।
শেরপুরের প্রথম শ্রেনীর ঠিকাদার মেসার্স পথিক কনষ্ট্রাকশনের সত্যাধিকারী শাউন আহম্মেদ
অভিযোগ করেন প্রকৌশলী জামাল হোসেন টাকার বিনিময়ে টেন্ডার মেথড পরিবর্তন করে সরকারের কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
তবে নকলা জনস্বাস্থ্য বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী রুমান আরা, নির্মানাধীন ভবনে পাথরের পরিবর্তে ইটের খোয়া ব্যবহার সহ অনিয়মের ব্যাপারে উপড়ের চাপ থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, আমরা ঠিকাদারের সাথে পেরে উঠিনা। শেরপুর জনস্বাসাস্থ্য বিভাগের এইসব দুর্নীতির তদন্ত সাপেক্ষে শাস্তির দাবী করেন নাগরিক প্ল্যাটফর্ম জন উদ্যেগের আহবায়ক আবুল কালাম আজাদ।
এসব অনিয়মের বিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ জামাল হোসেন জানায়, আমার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ মিথ্যে ও বানোয়াট। কাজে ফাঁকি দিয়ে ভূয়া বিল ভাউচার করার কোন সুযোগ নেই এবং কোন কাজে অনিয়মের পশ্রয় দেয়া হয়নি। তার অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়ে তিনি জানান, আমার টেক্স ফাইলে সকল তথ্য আছে।
- জন্মদিনে তৃণমূল নেতাকর্মীদের ভালোবাসায় সিক্ত হলেন যুবলীগ নেতা রেজা
- সঙ্গারের শরৎ ক্যাম্পেইনে ১০০% পর্যন্ত ডিসকাউন্ট